একটু একটু করে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলে ঠিক রোজ যেমন করে চলে যায় সময় নামক দানবটা। বেলার ভিতরে কেমন যেন একটা অসহায়ত্ব বাসা বেঁধেছে আজকাল। খুব হতাশ লাগে, ভিতরে কেমন যেন অদ্ভুত অস্থিরতা কাজ করে, প্রাণ ভোমরাটা কোথায় ঊড়ে চলে যেতে চায় যেন।
ইদানীং বাবা কে খুব বেশি মিস করে বেলা। প্রতিটা মুহুর্তে বেলার মনে হয় বাবা থাকলে এই কাজটা খুব সহজ হতো, এইটা অন্যরকম হতো, ওইটা হয়ত ঘটতই না...হাবিজাবি আরো কত কি...! বেলা সব মেনে নিতে জানে, মুখ বুজে সয়ে যেতে শিখে গেছে সমস্ত অপমান আর অবহেলা। এসব নিয়ে বেলার আর ভাবতে ভালো লাগেনা যে কে তাকে বুঝল, কে তাকে বুঝলনা এমনকি ওই পরিমানটুকুও জানতে ইচ্ছে করেনা যে কে তাকে কতটুকু বুঝল? কি দরকার বুঝুকনা যে যার মত করে। একটা মানুষের ধারনা'টা বদলে দেয়া খুব সহজ কাজ না। আর কেউ যদি কাউকে তাঁর নিজের মত করে বুঝে নেয় নিক না...ক্ষতি কি? বেলাও ঠিক তাঁর মত করে প্রতিটা মানুষকে বুঝে নেয়ার চেষ্টা করে। মানুষ কে চিনতে অথবা বুঝতে বেলা যে ভুল করেনা তা কিন্তু নয়...শত হলেও বেলাও তো মানুষের পর্যায়ে পরে (যদিও কেউ কেউ সেটা মানতে বা স্বীকার করতে চায়না) তবে বেলা নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসে।
বেলা সব মেনে নিতে শিখে গেলেও নিজের পরিবার বা নিজের বাবা-মা কে নিয়ে কোন কটু কথা সে এখনও সইতে পারেনা, মাথায় যেন খুন চেপে যায়, ভিতরের অশুরটা জেগে উঠে পূর্ণঊদ্যোমে...তাকে থামাতে খুব কষ্ট হয় বেলার...খুব কষ্ট...!
কাছের মানুষদের বেলা কতটা ভালোবাসে, কতটা ফিল করে সেটা কাছের মানুষরা টের পেল কি পেলনা এ নিয়ে বেলার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই। বেলার প্রতিটা মূহুর্ত কাটে প্রিয়মানুষগুলোর মংগল আর শান্তি কামনায়, বিনিময়ে বেলার কোন চাওয়া পাওয়া নেই তাঁদের কাছে, কিন্তু সেইসব প্রিয়মানুষগুলোর কাছ থেকে বেলা একটু সহমর্মিতা আশা করতেই পারে, নাকি এইটুকু প্রত্যাশা করাটাও অন্যায়? কি জানি হবে হয়ত...! আজকাল সব কিছুর ডেফিনিশন বেলার কাছে ঊল্টা পালটা মনে হয়...খুব বেশি উলটা পালটা...!!!
আজ ১৪ই ফেব্রু। বসন্ত অথবা ভালবাসা যেটাই আপনার ভাল লাগে ঐটারই শুভেচ্ছা জানবেন। লাভ ইউ আপু।
উত্তরমুছুন