শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১১

অনির্ণিত......!

কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় মনটা বিষিয়ে আছে...কাছের মানুষ গুলোর আচার আচরণ ভাবিয়ে তুলছে বেলাকে...। আসলে বেলাকে বুঝা একটু কঠিন তাই বলে সে দুর্বোধ্য নয়। বেলার সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন কাছের মানুষ গুলো ভুল বুঝে। মনের অজান্তেই তাঁদের কাছে প্রত্যাশাটা হয়ত একটু বেশিই বেলার। এটাই হয়ত সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ বেলার কাছে সবার প্রত্যাশা থাকবে ১০০% কিন্তু বেলার ১% ও থাকা চলবেনা, কেমন করে কখন যেন এই নিজস্ব থিওরি টা থেকে একটু সরে পরেছে বেলা। আর সে জন্য তার ফলটাও ভোগ করছে সে।

এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে বেলা একা একা। অনেকেই হাত বাড়িয়েছে চলার পথে সঙ্গী হওয়ার জন্য। এমনকি সারা জীবনের জন্য সেই হাতটা ধরতে চেয়েছে, বেলা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাঁদের থেকে কারণ একটাই তাঁদের চোখে বেলা কখনও ভালবাসার আকুতিটুকু খুঁজে পায়নি, অবাক হয়ে সেই হাতের পানে তাকিয়ে থেকে বেলা খুঁজেছে আশ্রয়, খুঁজেছে একটা বন্ধনের শক্তি, কিন্তু খুঁজে পায়নি সে তা...।

তারপরও বেলার কাছের মানুষগুলোকে অদ্ভুত এক মায়ার বাঁধনে বেধে রাখতে চায় সে...আগলে রাখতে চায় চিরদিনের জন্য। কেউ সেটা বুঝে আবার কেউবা বুঝেও না বুঝার ভান করে। বেলার খুব মেজাজ খারাপ হয় তখন। যখন কেউ তাকে অন্য কারো সাথে তুলনা করে একটা আলাদা সত্তা দিতে চায় বেলার মনটা তখন ভেঙ্গে যায়।

তারপরও বেলা বেঁচে থাকে। নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখে। তবে এখন সে হয়ত তার সেই আগের জীবন টাই বেছে নেবে...নিজের চারপাশে আরও শক্ত একটা প্রাচীর তুলতে হবে, যেখানে কেবলি তাঁর রাজত্ব...কেবলি তাঁর অবাধ বিচরন...আর বাকিদের "নো এন্ট্রি"...।

ফলাফল... একলা চলোরে...! নো শেয়ারিং...নো কেয়ারিং...!!! অনেক তো হলো...আর কেন?

1 টি মন্তব্য:

  1. "কারণ একটাই তাঁদের চোখে বেলা কখনও ভালবাসার আকুতিটুকু খুঁজে পায়নি..."
    আমি নিশ্চুপ।

    উত্তরমুছুন